ডোমেইন কেনার আগে যা যা খেয়াল রাখতে হবে।

১) কোন ধরনের ওয়েবসাইট করতে চাচ্ছেন সেটাআগে ভালোকরে পরিস্কার করে প্লান করবেন এবংডোমেইন নেম কি নিবেন সেটা নিয়ে ভালো করেচিন্তা করবেন।

 

২) সাধারনত ব্যবসা বা ব্যক্তিগত ওয়েবসাইটের জন্য.কম ডোমেইন ই ভালো। তবে অপনার নেটওয়ার্কিংবিজনেস হলে .নেট নিতে পারেন। আবার আপনারপ্রতিষ্ঠান নন-প্রফিটেবল হলে .অরগ নিতে পারেন।

 

৩) ডোমেইনটি যত ছোট করা যায় চেষ্টা করতে হবে।এতে আপনার ভিজিটররা আপনার ওয়েবসাইটেরঠিকানা খুব সহজে মনে রাখতে পারবেন। সুন্দরওয়েবসাইট নেম একটি ভালো সম্পদ।

 

৪) ডোমেইন নেম ইউনিক নেয়ার চেস্টা করতে হবেযেন অন্য বড় কোন ব্রান্ডের সাথে গুলিয়ে না যায়।

 

 

ডোমেইন কোথা থেকে রেজিস্ট্রেশন করবেন:

 

১) বাংলাদেশি প্রভাইডারের কাছ থেকে ডোমেইননেয়া ভালো, কারন আপনি বিদেশি কোম্পানীরচেয়ে ভালো সার্ভিস পাবেন এরকম অনেকপ্রতিষ্ঠানই এখন বাংলাদেশে আছে। তাছাড়াবিদেশি কোম্পানীর কাছে ডোমেইন নিতেআপনাকে ডলারে পেমেন্ট পরিশোধ করতে হবে।যেখানে বাংলাদেশি প্রভাইডারের কাছ থেকেনিলে আপনি টাকায় পেমেন্ট করতে পারবেন।

 

২) ডোমেইনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশি এবং বিদেশীকোম্পনীর কোন ডিফারেন্স নেই। বিদেশীকোম্পানী আপনাকে যেখান থেকে ডোমেইনরেজিস্ট্রেশন করিয়ে দিবে, বালাদেশী কোম্পানীসেখান থেকেই রেজিস্ট্রেশন করিয়ে দিবে।

 

৩) বাংলাদেশী প্রভাইডারের কাছে ডোমেইননিলে একটি কথা তাকে আগে জিজ্ঞাসা করতেহবে, সে কি আপনাকে ডোমেইনের ফুল কন্ট্রোলপ্যনেল দিবে? ফুল কন্ট্রোল প্যানেল না দিলেআপনি তার কাছ থেকে ডোমেইন কিনবেন না।

 

৪) ডোমেইনটা হোস্টিং এর সাথে রিলেটেড। তাইহোস্টিং যে কোম্পানী থেকে নিবেন, সেখানথেকেই ডোমেইন নেয়া বেটার। তাতে আপনিডোমেইন এবং হোস্টিং সার্ভিস একই সাথেপাবেন।

 

৫) লোভনীয় অফারে ডোমেইন কিনতে হলে আগেভালে করে অফার সম্পর্কে পরিস্কার ধারনা নিন।

 

৬) সাধারনত একটি ডোমেইনের মূল্য ৮০০-১২০০ টাকাহয়ে থাকে। এই প্রাইসের নিচে আপনাকে কেউডোমেইন অফার করলে আগে ভালো করে জিজ্ঞাসাকরুন তার কি কি কন্ডিশন আছে।

 

হোস্টিং কেনার আগে যে সকল বিষয় বিবেচনাকরতে হবে:

 

ডোমেইন ক্রয় করার পর আপনাকে অবশ্যই হোস্টিংক্রয় করতে হবে। হোস্টিং ছাড়া আপনি শুধু ডোমেইনদিয়ে একটি ওয়েবসাইট লাইভ করতে পারবেন না।ডোমেইন সার্ভিস সকল কোম্পানী প্রায় একই রকমদিয়ে থাকে। কিন্তু প্রায় বেশিরভাগ কোম্পানীরহোস্টিং বিভিন্ন ধরনের এবং বিভিন্ন মানের। তাইহোস্টিং কেনার আগে আপনাকে নিচের বিষয়গুলোঅবশ্যই বিবেচনা করতে হবে।

 

১) বাজেট: ওয়েবসাইট করার আগে সবারই ডোমেইনহোস্টিং এর পেছনে একটা বাজেট করতে হয়। এইসময়ে হোস্টিং এর পেছনে ভালো বাজেট করবেন।আপনি কোন ধরনের সাইট করবেন। সাইটে ডেইলিভিজিটর সংখ্যা কেমন থাকবে এটার উপর হোস্টিংবাজেট ঠিক করতে হবে। বাজেট ঠিক করার পর,সেইম বাজেটে আপনাকে ভালো মানের হোস্টিংযে কোম্পানী প্রোভাইড করবে তার কাছ থেকেনিবেন।

 

২) হোস্টিং স্পেস: আপনার ওয়েবসাইট করতে কতপরিমান স্পেস প্রয়োজন সেটা ঠিক করে সেঅনুযায়ী হোসিং প্যাকেজ বা প্ল্যান ক্রয় করুন।

 

৩) ব্যন্ডউইথ: আপনার ওয়েবসাইটে যত পরিমান ডাটাবা ফাইল থাকবে এবং যত পরিমান ভিজিটর আসবেতার উপর ব্যন্ডউইথ খরচ হবে। পার ভিজিটর এবং পারপেইজ ভিউ অনুযায়ী ব্যন্ডউইথ খরচ হতে থাকবে। মনেকরেন ১ জিবি ব্যন্ডউইথে আপনার সাইটে ১০০০ভিজিটর আসতে পারবে । তাহলে সাইটে ভিজিটরঅনুযয়ী ব্যন্ডউইথ নিতে হবে। আপনার সাইটে ১০-১০০জিবি ব্যন্ডউইথ নিয়ে নিতে পারেন। প্রয়োজনেআনলিমিটেড ‍ও নিতে পারেন।

 

৪) হোস্টিং আপটাইম: হোস্টিং এর ক্ষেত্রেআপটাইম একটি খুবই গুরুত্বর্পূন বিষয়। হোস্টিংআপটাইম অনুযয়ী আপনার সাইট লাইভ থকবে। ৯৯.৯%এবং ১০০% আপটাইম দেখে আপিনি হোস্টিংনির্বাচন করবেন। অনেক কোম্পনী আপনাকে বলবে৯৯.৯% আপটাইম। কিন্তু অপনি প্রকৃতপক্ষে সেটাপাবেন না। তাই হোস্টিং কেনার আগে আপনাকেহোস্টিং আপটাইম চেক করে নিতে হবে। এজন্যকোম্পানীর ইউজেস পলিসি পেজ দেখতে পারেন।

 

৫) মানি ব্যক গ্যারান্টি: হোস্টিং এর ক্ষেত্রেমানি ব্যক প্যারান্টি একটি গুরুত্ববহ বিষয়। আনেককোম্পনীই ৩০ দিন মানি ব্যক গ্যারান্টি দিয়েথাকে। এটা দেখে নিবেন। সাধারনত মানি ব্যকগ্যারান্টি দেয়া কোম্পানীগুলো সার্ভিস ভালোদিয়ে থাকে।

 

৬) হোস্টিং কোম্পানীর অবস্থা: হোস্টিং কেনারআগে তাদের প্রতিষ্ঠানের অবস্থা জানার চেস্টাকরুন। তাদের কাস্টমার কেয়ারে কথা বলুন। তাদেরসার্ভিস ব্যবহার করে এমন করোর ফিডব্যক নিতেপারলে ভালো হয়। তাদের সার্ভারের অবস্থানজানুন। সকল কিছু বিবেচনা করে ফাইনাল অর্ডারকরুন।

 

৭) সাপোর্ট: হোস্টিং এর জন্য সাপোর্ট একটাগুরুত্ববহ বিষয়। আপনার হোস্টিং এ কোন প্রকারসমস্যা দেখা দিলে তাদের সাপোর্ট আপনাকেনিতে হবে। সাপোর্ট পেতে আপনাকে কয়েকদিনসময় লাগলে আপনি আপনার সাইটের লক্ষ লক্ষভিজিটর হারাবেন। আর আপনি রিসেলার হলে তোকথাই নাই। আপনার ক্লাইন্ট আপনাকে সমস্যাজিজ্ঞাসা করবে কিন্তু আপনি কোন উত্তর দিতেপারবেন না।

 

৮) হোস্টিং এর ধরন: আপনার কাজে কোন ধরনেরহোস্টিং প্রয়োজন সে অনুযায়ী অর্ডার করুন।উইন্ডোজ এবং লিনাক্স হোস্টিং এর মধ্যে আপনারকোনটি দরকার জেনে নিন নেয়ার আগে।

৯) ফিচারসমূহ: হোস্টিং নেয়ার আগে তাদেরপ্রদানকৃত ফিচারসমূহ জেনে নিন। আপনারপ্রয়োজনের সাথে মিল হলে তখন সেখান থেকেহোস্টিং ক্রয় করুন।

 

১০) লিমিটিশন: আপনি ছোট কোন প্যকেজ নিলেসকল লিমিটেশন আপনার প্যাকেজে উল্লেখথাকবে। নিন্তু আনলিমিটেড প্যাকেজ নিলেআপনাকে লিমিটেশন জেনে নিতে হবে। মানেরাখবেন পৃথিবীতে সব কিছুরই একটা লিমিট আছে।আপনার কাছে আনলিমিটেড হবে সেটাই যেটারলিমিট আপনি ক্রোস করতে পাবেন না।

 

১১) সার্ভার লোড: শেয়াড় হোস্টিং নেয়ার আগেসার্ভার কনফিগারেশন এবং সার্ভার লোড সম্পর্কেজেনে নিতে হবে। সার্ভার ওভারলোড হলে আপনারসাইট লোড হতে আনেক সময় লাগবে।

 

 

ডোমেইন নাম কেমন হওয়া উচিৎ?

 

WordPress কি ? ওয়ার্ডপ্রেস এর কাজ ও লাভ (About WordPress)

 

 

What Is Freelancing? How To Become A Freelancer? – The Actionable Guide